স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক,
দক্ষিণ–পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ উত্তর ও উত্তর–পশ্চিম দিকে মুখ ঘুরিয়ে তামিলনাডু উপকূলে পৌঁছেছে। তার প্রভাবে মঙ্গলবার থেকেই তামিলনাডু এবং অন্ধ্রপ্রদেশে তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। উপগ্রহচিত্রে দেখা গিয়েছে, নিম্নচাপটি তামিলনাডু উপকূলে প্রবেশের পরেই দু’ভাগে ভাগ হয়ে একটি ভাগ উপকূল বরাবর উত্তর–পূর্ব দিকে এগোচ্ছে। গতিপথে হেরফের না হলে জলীয় বাষ্পে ভরপুর মেঘ আজ, বুধবার ওডিশার উপকূলবর্তী অঞ্চলে বৃষ্টি নামাবে। তারপর নিম্নচাপের মেঘ বাংলার দিকে এগোবে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে বুধবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আবহাওয়ার বদল চোখে পড়বে। ২০ এবং ২১ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি, নদিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
নিম্নচাপের জেরেই এই বৃষ্টি। মেঘলা আকাশ থাকায় ঠান্ডার দাপট বেশ খানিকটা ফিকে হবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় দুই থেকে চার ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। বুধবার থেকে তাপমাত্রা চড়তে শুরু করবে।
কাল থেকে হাওয়া বদল শহর কলকাতাতেও। তিলোত্তমা মহানগরীতে চড়তে শুরু করবে তাপমাত্রা। ইতিমধ্যেই মহানগরীর তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির উপরে পৌঁছে গিয়েছে। আগামী শুক্র এবং শনিবার কলকাতা শহরেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে বৃষ্টি শুরু হলে, অর্থাৎ ঘন মেঘে সূর্য ঢাকা পড়ে গেলে পরিস্থিতি কেমন থাকে সেটাই দেখার। সেই পরিস্থিতিতে একদিকে রাতের তাপমাত্রা বাড়বে, অন্য দিকে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা কমে যাবে। সেই পরিস্থিতিতেই ‘ছদ্ম শীতের’ আবহ তৈরি হয়। যদিও আবহবিদরা আপাতত মনে করছেন, সমুদ্রের অস্থিরতা স্থায়ী হবে না। নিম্নচাপের মেঘ দ্রুত কেটে যাবে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ক্ষেত্রেও তেমনই পূর্বাভাস। দেশের দুই প্রান্ত ফের ‘ঝামেলা–মুক্ত’ হলেই হাড়–কাঁপানো শীতের অনুভূতি ফিরবে দক্ষিণবঙ্গে।