মহাকুম্ভের শেষ শাহি স্নানের সময় সঙ্গমে ডুব দিতে ভোররাত থেকেই ঘাটে ঘাটে ভিড় জমিয়েছেন লক্ষাধিক পূণ্যার্থী। গত ১৩ জানুয়ারি মহাকুম্ভের সূচনা ঘটেছিল। ৬ সপ্তাহ ধরে চলেছে এই ধর্মীয় 'মহামিলন'। এর মধ্যে মোট ৬ দিন 'শাহি স্নানের যোগ' ছিল- ১৩ জানুয়ারি (পৌষ পূর্ণিমা), ১৪ জানুয়ারি (মকর সংক্রান্তি), ২৯ জানুয়ারি (মৌনী অমাবস্যা), ৩ ফেব্রুয়ারি (বসন্ত পঞ্চমী), ১২ ফেব্রুয়ারি (মাঘী পূর্ণিমা), ২৬ ফেব্রুয়ারি (শিবরাত্রি)। এর মধ্যে গত ২৯ জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যার দিনে মহাকুম্ভে পূণ্যার্থীদের হুড়োহুড়ির জেরে পদপিষ্ট হয়ে অনেকের মৃত্যু ঘটেছিল। যার জেরে উত্তরপ্রদেশ এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তোপ দেগেছিলেন বিরোধী নেতারা। এরপরে সম্প্রতি আবার নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে মহাকুম্ভগামী যাত্রীদের হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে অনেকের মৃত্যু ঘটেছিল। এই আবহে মহাকুম্ভের শেষ শাহি স্নানের জন্যে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তৎপর।
পরিসংখ্যান বলছে, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ৬৫ কোটি মানুষের পা পড়েছে মহাকুম্ভে। আর শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ অর্থাৎ বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত অমৃত স্নান লগ্নে ডুব দিয়েছেন প্রায় ৪১ লাখ মানুষ। দিন গড়ালে গুণিতক হারে বাড়বে ‘ফুটফল’ তা বলাই বাহুল্য।
মহাকুম্ভ নিয়ে হিড়িকের আবহে ঘটেছে একাধিক দুর্ঘটনাও। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। গোটা পরিস্থিতিতে নজর রাখতে গোরখনাথ মন্দিরে কুম্ভের কন্ট্রোলরুমে ভোর থেকেই হাজির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রশাসন সূত্রে খবর, মকর সংক্রান্তি ও বসন্ত পঞ্চমীতে ডুব দিতে আসা পুর্ণ্যার্থীদের ভিড়ের রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে মহাশিবরাত্রির অমৃতস্নানে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাহুল গান্ধী টুইট করে দেশবাসীকে মহাশিবরাত্রির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং সকলের মঙ্গল কামনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী লিখেছেন, 'ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে নিবেদিত পবিত্র মহাশিবরাত্রির উৎসবে আমি সকল দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।' এই উৎসব উপলক্ষে আপনাদের সকলের জীবনে বয়ে আনুক সুখ, সমৃদ্ধি এবং সুস্বাস্থ্য। উন্নত ভারতের সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করুক'।