টেকনোলজিKIIT বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার এক নেপালি ছাত্রীর দেহ, দীর্ঘদিন ধরেই হেনস্থা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ


 রবিবার ভুবনেশ্বেরের কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজির হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে এক নেপালি ছাত্রীর দেহ। এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিল নেপালের ভারতীয় দূতাবাস। অপ্রীতিকর ঘটনার পর হস্টেল ছাড়া নেপালি পড়ুয়াদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরতে অনুরোধ করা হয়েছে কাঠমান্ডুর ভারতীয় দূতাবাসের তরফে। ভবিষ্যতে নিরাপত্তায় ত্রুটি হবে না বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে প্রতিবেশী দেশের ছাত্রছাত্রীদের। অন্যদিকে মেয়ের মৃত্যুর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দায়ী করলেন মৃত ছাত্রীর বাবা।


এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার কয়েকশো ছাত্রছাত্রী একজোট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও সংলগ্ন রাস্তা একেবারে অবরুদ্ধ করে দেন। তাঁদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই এক সহপাঠীকে হারিয়েছেন তাঁরা।


কারণ, ওই ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরেই হেনস্থা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এমনকী, মাস খানেক আগে তিনি এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও করেছিলেন। কিন্তু, কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ করেনি। যার খেসারত নিজের প্রাণ বলি দিয়ে চোকাতে হল ওই ছাত্রীকে।


পরদিন সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেপালের সমস্ত ছাত্রদের অবিলম্বে ক্যাম্পাস খালি করার নির্দেশ জারি করে । এই বিষয়ে কেআইআইটি রেজিস্ট্রারের অফিস থেকে জারি করা হয় একটি বিজ্ঞপ্তিও ৷ তাতে বলা হয়, "নেপালের সমস্ত ছাত্রদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। তাদের 17 ফেব্রুয়ারি 2025 তারিখে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খালি করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে ।”


অভিযোগ, নেপালের ছাত্ররা আগামিদিনে এই বিক্ষোভ না চালিয়ে যেতে পারে তাই এই পদক্ষেপ ৷ দেশে ফেরার বা থাকার ব্যবস্থা না করেই হস্টেল খালি করতে এবং তাঁদের বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল । সমস্ত নেপালি ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে কেবল বিভিন্ন রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরে নামিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ।


Previous Post Next Post

نموذج الاتصال