সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের একটা অংশ চাকরি হারিয়েছেন। জেলায় জেলায় কার্যত ভেঙে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। এই আবহে এবার যোগ্যদের পাশে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে দিলেন রাহুল গাঁধী।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রাতারাতি চাকরি গেছে প্রায় ২৬ হাজারের। বাতিল হয়ে গিয়েছে ২০১৬ সালের SSC-র পুরো প্যানেল। রাজ্য় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে চাকরিহারারা। এই পরিস্থিতিতে এবার রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর, ৫ জন চাকরিহারার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এবার যোগ্য়দের পাশে দাঁড়িয়ে, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে তাঁর হস্তক্ষেপের আবেদন জানালেন রাহুল গাঁধী। তিনি লেখেন, 'নিয়োগে যেকোনও অপরাধ নিন্দনীয় এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
নিয়োগ দুর্নীতির স্পনসর হল রাজ্য় সরকার। পরীক্ষায় না বসেই চাকরি মিলেছে। সন্দেহ থাকলে পুরো প্যানেল বাতিল করে নতুন করে নিয়োগ করার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তবে চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলায় একাধিক জটিলতা রয়েছে। এর মধ্য়ে সবথেকে বড় জটিলতা হল কারা যোগ্য ও কারা অযোগ্য় সেটাকে নিশ্চিত করা। তবে কীভাবে যোগ্য ও অযোগ্যদের চিহ্নিত করা হবে সেটা নিয়ে কোনও সমাধানসূত্র মেলে কি না সেটাও দেখার।
অভিনেতা তথা রাজনৈতিক বিশ্লেষক অরিত্র দত্ত বণিক বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবথেকে বড় সমস্যা তিনি আজকের গোটা প্রেস কনফারেন্সে সিপিএম দোষী, বিজেপি দোষী, আদালত দোষী সবাইকে একটু একটু করে দোষের বোঝা ডিস্ট্রিবিউট করলেন। কিন্তু একবারও বললেন না, সরি, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ব নেওয়া উচিৎ ছিল। আমি ওঁনার থেকে একটা সরি আশা করেছিলাম। পরে বুঝলাম, ভুলের দায় স্বীকার করা ওঁনার রাজনীতির ডিকশনারিতে নেই।’