প্রয়াত সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালির দুর্গা ৷ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালজয়ী রচনা 'পথের পাঁচালী'কে পর্দায় নিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন সত্যজিৎ রায়। দুর্গার চরিত্রে ছিলেন উমা দাশগুপ্ত। আজ অর্থাৎ সোমবার বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। অভিনেত্রীর মৃত্যু সংবাদে শিলমোহর দিয়েছেন অভিনেতা-বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। উল্লেখ্য, উমাদেবী যে আবাসনে থাকতেন সেই একই আবাসনে থাকেন অভিনেতা-বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী।
সোমবার সকাল ৮.১৫ নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন সত্যজিতের 'পথের পাঁচালী'র এই নায়িকা । শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখানেই প্রয়াত হন পথের পাঁচালির 'দুর্গা'। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চ মাসেই উমা দাশগুপ্তের মৃত্যুর ভুয়ো খবর রটে যায়। কিন্তু পরে জানা যায়, অভিনেত্রী সুস্থই রয়েছেন। ভাল আছেন। মার্চে শান্তিনিকেতন থেকে কলকাতায় ফিরেছিলেন। অভিনেতা-বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী ও উমা দাশগুপ্ত একই একই আবাসনের বাসিন্দা ছিলেন। চিরঞ্জিৎ জানিয়েছেন, ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।
শৈশব থেকেই থিয়েটার করতেন উমা দাশগুপ্ত। তিনি যে স্কুলে পড়তেন সেখানে প্রধানশিক্ষকের সঙ্গে সত্যজিৎ রায়ের পরিচয় ছিল। আর সেই শিক্ষকের সুবাদেই সত্যজিৎ আবিষ্কার করেছিলেন পথের পাঁচালীর দুর্গা উমা দাশগুপ্তকে। পর্দায় 'দুর্গা'র মৃত্যু দেখে চোখ ছলছল করে ওঠেনি, এমন দর্শক বিরল। 'পথের পাঁচালীর' পরেও বেশ কিছু ছবিতে কাজ করেছিলেন এই অভিনেত্রী। তবে উমা দাশগুপ্ত মানেই আপামর বাঙালির কাছে ছিল 'পথের পাঁচালী-র দুর্গা'।
উমা দাশগুপ্ত থিয়েটার করতেন তাঁর স্কুল জীবন থেকেই। তিনি যে স্কুলে পড়তেন, সেখানকার প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সত্যজিৎ রায়ের বিশেষ পরিচয় ছিল। সেই সুবাদেই সত্যজিৎ রায় দেখেন উমাকে। আর বেছে নেন 'পথের পাঁচালী'র দুর্গাকে। জানা যায়, উমাদেবীর বাবার মত ছিল না এই বিশয়ে। তাঁকে রাজি করান সত্যজিৎ রায় স্বয়ং। তারপরেই পর্দায় উমা করলেন বাজিমাত। যা আজও মানুষের মনের মণিকোঠায় গেঁথে রয়েছে ৷ নতুন প্রজন্মের সিনেপ্রেমীদের কাছেও অপু-দুর্গার কাহিনি নস্ট্যালজিক করে তোলে।
বর্ষীয়ান অভিনেত্রী লাইমলাইটের অন্তরালে থাকলেও কালজয়ী ছবির দুর্গা চরিত্রটা কোনওদিন ভুলবেন না দর্শক। শৈশব থেকেই থিয়েটার করতেন অভিনেত্রী। তিনি যে স্কুলে পড়তেন সেখানকার প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সত্যজিৎ রায়ের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। আর সেই শিক্ষকের সুবাদেই মাণিকবাবু আবিষ্কার করেছিলেন পথের পাঁচালীর দুর্গা উমা দাশগুপ্তকে। তবে উমার বাবা নাকি রাজি ছিলেন না, মেয়ে সিনেদুনিয়ায় আসুক। তবে উমার পরিবারকে রাজি করানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন খোদ পরিচালক সত্যজিৎ রায়।