স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক,
আঠেরো বছর বয়স কী দুঃসহ….এ দেশের বুকে আঠেরো আসুক নেমে’। মাত্র আঠেরোতেই বিশ্বজয় ভারতীয়ের। দাবায় বিশ্বজয় করলেন তামিলনাড়ুর ডি গুকেশ (D Gukesh)। কিংবদন্তী গ্যারি কাসপারভের (Garry Kasparov) রেকর্ড ভেঙে সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্বখেতাব জয়ের মুকুটও চলে এল এই ভারতীয়ের দখলে। প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বিশ্বনাথন আনন্দের শহরের বাসিন্দা গুকেশ নাম লেখালেন ইতিহাসে। মাত্র এগারো বছর বয়সে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে চায় বলে জানিয়েছিল যে ছেলেটি, সেই গুকেশ আজ কৃতিত্বে মহীরুহ। সিঙ্গাপুরে গত কয়েক দিনে ঘুঁটির টানাপোড়েনের পর ওয়ার্ল্ড চেস চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ গেম ১৪-তে বৃহস্পতিবার শেষ গেমে হারিয়েই দিলেন চীনের ডিং লিরেনকে (Ding Liren)। ভারতীয়ের দাবার চালে দুরমুশ চীনা আধিপত্য।
তরুণ গ্র্যান্ডমাস্টার ডি গুকেশ দাবা বিশ্বে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য খেতাব জিতেছেন। কনিষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টারদের মধ্যে তিনি তৃতীয় স্থানে আছেন। দাবা রেটিংয়ে ২৭০০ রেটিং পাওয়া তৃতীয় কনিষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টার তিনি। এরপর ২৭৫০ রেটিং পাওয়া প্রথম কনিষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টার হিসেবেও রেকর্ড গড়েন।
২০২০ সালে ক্যান্ডিডেটস দাবা প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার পর থেকে ওয়েস্টব্রিজ আনন্দ দাবা একাডেমিতে (WACA) প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ডি গুকেশ। ২০১৩ সাল থেকে ওয়েস্টব্রিজ ক্যাপিটাল তাঁকে স্পনসর করছে। চেন্নাইয়ের এক তেলুগু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ডি গুকেশ। তাঁর বাবা রজনীকান্ত একজন নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ। গুকেশের মা পদ্মা একজন মাইক্রোবায়োলজিস্ট। সাত বছর বয়স থেকেই দাবা খেলে আসা গুকেশ আজ তাঁর প্রিয় খেলার সর্বোচ্চ কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।
গুকেশ ৭.৫-৬.৫ ফলে প্রতিপক্ষকে হারালেন। টাইব্রেকারে খেলার দরকার হল না। এদিন ১৪ তম ম্যাচ ছিল। এর আগে ১৩ তম ম্যাচে সমান পয়েন্ট ছিল দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর। এদিন গুকেশ এক পয়েন্ট পেতেই পৌঁছন ৭.৫ পয়েন্টে। গুকেশ মাত্র সাত বছর বয়সে দাবা খেলা শুরু করেছিলেন। ১২ বছর সাত মাস বয়সে গ্র্যান্ড মাস্টারের যোগ্যতা অর্জন করেন। এর আগে গুকেশ ২০২২ সালে অলিম্পিয়াডে একক বিভাগে সোনা জিতেছিলেন। আনন্দকে টপকে ভারতীয়দের মধ্যে শীর্ষ তালিকায় পৌঁছন। এছাড়া বিশ্বনাথন আনন্দের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে ক্যান্ডিডেটস দাবায়ও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল গুকেশ।