স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক,
চলচ্চিত্র উৎসবে নন্দন চত্বরে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী বিদ্যা বালন। ‘ভালো থেকো’র হাত ধরেই রুপোলি পর্দার যাত্রা শুরু করেন বিদ্যা। ছবির পরিচালক গৌতম হালদার আজ আর নেই। ডেবিউ ছবির পরিচালক সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে গলা ধরে আসে বিদ্যার।
‘বাংলাকে, বাঙালি লোকজনকে ও বাংলার মিডিয়াকে খুব ভালোবাসি’, কলকাতায় এসে হাসতে–হাসতে বিদ্যা ব্যক্ত করেন তাঁর মনের কথা। প্রতিবার কলকাতায় এলেই কালীঘাটে যান। তাঁর প্রায়ই মনে হয়, কলকাতায় গিয়ে কালীঘাটের মন্দির দর্শন করবেন। কুণ্ঠাহীন ভাবে ভাঙা বাংলায়, ইংরেজি ও হিন্দিতে মিলিয়ে মিশিয়ে কথাগুলো বলছিলেন বিদ্যা।
কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (কিফ) মানে, সময়-যানে এমন আশ্চর্য সফরও বটে। শিশির মঞ্চের পাশে গগনেন্দ্র প্রদর্শশালায় কিফের ৩০ বছরের ইতিহাস মেলে ধরছে একটি প্রদর্শনী। অনেক আধা প্রবীণও স্মৃতিকাতর, ১৯৯৮-এ উৎসবের সমাপ্তির ছবিতে লোরকার বিখ্যাত নাটক অবলম্বনে ‘ইয়ারমা’ দেখেছিলাম! ১৯৯৭-এ একসঙ্গে ত্রুফো, তারকোভস্কির ছবির সম্ভার। ওটিটি যুগের অত আগে যা বিরল প্রাপ্তি। নন্দনে উদ্বোধনী ছবি তারকোভস্কির ‘মিরর’-এর প্রবেশপত্র পেতেও তুমুল হাহাকার।
নেতাজি ইনডোরের উদ্বোধনী আসরে অনেক বেশি লোক বলিউডি তারকা দেখতে ঢুকেছেন! তবে উদ্বোধনী ছবির আকর্ষণ এখন ফিকে। এ বার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহেও টিভিতে বহু বার দেখা ‘গল্প হলেও সত্যি’ দেখতে দর্শক কমই ছিল।
নন্দনের নীচের খোলা উঠোনে শতায়ু তপন সিংহকে নিয়ে প্রদর্শনী দেখে মুগ্ধ নাটক ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব জব্বর পটেল। প্রদর্শনীর প্রধান রূপকার সুদেষ্ণা রায়কে বলছিলেন, ‘‘পুণের সিনে উৎসবে এই প্রদর্শনীটা নিয়ে যেতে চাই।’’ গগনেন্দ্র প্রদর্শশালার দোতলায় বিদূষী অভিনেত্রী, চলচ্চিত্র পরিচালক অরুন্ধতী দেবীর প্রদর্শনীটি মেলে ধরতে সাহায্য করেছেন ইতিহাসবিদ তপতী গুহঠাকুরতা, গবেষক মৃণালিনী বাসুদেবন। অরুন্ধতীকে নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রদর্শনী ডিসেম্বরেই কলকাতা সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভিটিতে শুরু হওয়ার কথা। শান্তিনিকেতনের ছাত্রী অরুন্ধতীর রবীন্দ্রনাথ বা গান্ধীর সান্নিধ্যে আসার কাহিনি বলা হয়েছে। হরিসাধন দাশগুপ্তের শতবর্ষের প্রদর্শনীতে ১৯৮২ সালে তাঁকে লেখা বন্ধু সত্যজিৎ রায়ের চিঠি। সত্যজিতের নকশায় সোনালি-হরিসাধনের বিয়ের কার্ডও প্রদর্শনীর প্রাপ্তি।