স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক,
বাংলাদেশে ঘটে চলা ধারাবাহিক অশান্তির জেরে ইতিমধ্যেই সীমান্তে তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। এবার নজরদারিতেও বাড়তি জোর দেওয়া হল। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে পাক ঘনিষ্ঠতার খবর সামনে আসার পর থেকেই এব্যাপারে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে বিশেষ ড্রোন মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ। তুরস্কে তৈরি বিশেষ ড্রোন দিয়ে ভারতের সীমান্তে নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে রিপোর্ট পৌঁছেছে গোয়েন্দাদের কাছে। এই ড্রোনগুলি মূলত গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হয়। ফলে সীমান্তের বিষয়ে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করছে ভারত সরকার।
বাংলাদেশে অগাস্ট মাস থেকে এখনও পর্যন্ত কতজন হিন্দু হিংসার শিকার হয়েছেন সেই সংক্রান্ত পরিসংখ্যান দিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অগাস্টে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারানোর পর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু, প্রধানত হিন্দুদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক হিংসার ৮৮টি ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে সরকার।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান মহম্মদ ইউনূসের প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলমও জানান, এই ঘটনায় ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের বৈঠক করার পর নিরাপত্তা ও কল্যাণ সম্পর্কিত বিষয়গুলি সহ ভারতের উদ্বেগের কথা জানানোর একদিন পরে এই কথা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়নের ঘটনা নিয়ে ফের মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দিঘায় জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, 'এটা ভারত সরকারের দেখার কথা। আমরা চাই, তারা আমাদের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করুক।' পাশাপাশি, মমতা দাবি করেন, 'কিছু ফেক ভিডিয়ো চলছে।কেউ কেউ মিসলিড করে এটাকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এখানকার ইমামরা একসঙ্গে বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর যে নির্যাতন হচ্ছে, তার নিন্দা করি। আমরাও সকলে সকলের নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি।’