পাকিস্তান যাওয়ার আগে কলকাতায় এসেছিলেন জ্যোতি মলহোত্রা। ঘুরে বেড়িয়েছেন শহরের নানা জায়গায়। পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে ধৃত ইউটিউবার জ্যোতির সঙ্গে ছিলেন শহরের এক নেটপ্রভাবী। সমাজমাধ্যমে জ্যোতির পোস্ট করা ভিডিয়ো ঘেঁটে মিলল এই তথ্য। শহরের যে নেটপ্রভাবীর সঙ্গে জ্যোতিকে দেখা গিয়েছিল, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার ডট কম। তিনিও তাঁদের ভ্রমণবৃত্তান্তের কথা বিশদে জানালেন।
গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই জ্যোতির ভ্রমণ সংক্রান্ত ভিডিয়োগুলি তদন্তকারীদের আতশকাচের তলায়। জ্যোতি কবে কোথায় গিয়েছিলেন, কাদের সঙ্গে ঘুরেছেন, তাঁদের সম্পর্কেও স্বাভাবিক ভাবেই খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। গত বছর সেপ্টেম্বরে পুরী গিয়ে সেখানকার এক নেটপ্রভাবীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন জ্যোতি। সূত্রের খবর, সেই নেটপ্রভাবীকে তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
শহরের ওই নেটপ্রভাবীর সঙ্গে অবশ্য তদন্তকারীরা এখনও যোগাযোগ করেননি। ওই যুবক বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে পুলিশ এখনও যোগাযোগ করেনি। আমি কোনও দেশদ্রোহী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত নই। যদি হতাম, পুলিশ এত ক্ষণে আমাকে গ্রেফতার করে নিত। কিন্তু করেনি। তাই আমার কোনও ভয় নেই। আমি এ সব কিছুই করিনি।’’
সেই জ্যোতিকে গত শনিবার হরিয়ানা পুলিশ পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার হয়েছেন আরও পাঁচ জন। শহরের নেটপ্রভাবী ‘বন্ধু’ বলেন, ‘‘আমি সত্যিই স্তম্ভিত। অদ্ভুত লাগছে। এ সবের জন্য আমরা যাঁরা ভ্লগ করি, তাঁদের নাম খারাপ হচ্ছে।’’ বর্তমানে আন্দামানে ভ্লগের কাজেই গিয়েছিলেন ওই নেটপ্রভাবী। তিনি জানান, জ্যোতির সঙ্গে যে পাঁচ জনকে পুলিশ গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে, তাঁদের তিনি চেনেন না।
এখনও পর্যন্ত তদন্তে দেখা গিয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কলকাতা থেকে ঘুরে যাওয়ার পর মার্চে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন জ্যোতি। অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে ও পারে যাওয়া, লাহৌরের আনারকলি বাজার, পাক পঞ্জাবের কটাস রাজ মন্দির ঘুরে দেখার ভিডিয়োও রয়েছে জ্যোতির সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্টে। পাকিস্তানের খাবার এবং ভারত-পাকিস্তানের সংস্কৃতির তুলনা করেও ভিডিয়ো বানিয়েছিলেন ইউটিউবার।