আইপিএল ফাইনাল নিয়ে নতুন করে উন্মাদনা ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে। নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবে ১৮-য় পা দেওয়া প্রতিযোগিতা। এর আগে তিন বার ফাইনালে উঠেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। পঞ্জাব কিংসও এক বার রানার্স হয়েছে। ফাইনালে যারা আঠারোর স্পর্ধা দেখাতে পারবে, তারাই ট্রফি জিতবে।
আইপিএলের জন্মলগ্ন থেকে খেলছে দু-দল। ট্রফির খুব কাছেও পৌঁছেছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হতাশা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। তারা এর আগে তিনবার ফাইনালে উঠেছে। কিন্তু ট্রফি আসেনি। অন্য দিকে, পঞ্জাব কিংস। আইপিএলের শুরু থেকে টিমের নাম ছিল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। নাম বদলেছে, ভাগ্য সেই একই রয়েছে। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার ফাইনালে উঠেছে তারা। দু-দলের কাছেই প্রথম ট্রফির হাতছানি। ফলে কোনও এক দলের বিষাদের পরিস্থিতি তৈরি হবেই।
প্রত্যাশার পাহাড় প্রমাণ চাপ তৈরি হয়েছে দু-দলকে নিয়েই। বিশেষ করে বলতে হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কথা। বেশ কয়েকটি সংস্করণে সুপারস্টার ভরা দল নিয়ে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল তারা। প্লে-অফ, ফাইনাল অবধি পৌঁছলেও খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে। এ বার আরসিবিকে তুলনামূলক আত্মবিশ্বাসী দেখা যাচ্ছে। তা আত্মতুষ্টি নয়। আরসিবির আত্মবিশ্বাসের অন্যতম কারণ বিরাট কোহলির ফর্ম। মনে হতেই পারে, বিরাট তো ফর্মেই থাকেন। এ বার আলাদা কী! আলাদা এখানেই, এখনও অবধি আলাদা আলাদা ম্যাচ উইনার উঠে এসেছে আরসিবিতে। ব্যাটিং গভীরতা দুর্দান্ত।
তবে আইপিএল ফাইনালে সবকিছু ছাপিয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে স্নায়ুর চাপ সামলানোর দক্ষতা। অধিনায়ক শ্রেয়স ইতিমধ্যেই দু'টো আইপিএল ফাইনাল খেলে ফেলেছেন। জিতেছেন একবার। অন্যদিকে, আরসিবির মতো বিশাল ফ্যানবেসের চাপ সামলে দলকে ঠাণ্ডা মাথায় নেতৃত্ব দিয়েছেন রজত। খেতাবি যুদ্ধেও কি একই রকম শান্ত থাকতে পারবেন তিনি? মঙ্গলবার শেষ হাসি হাসবেন কোন অধিনায়ক?