অসমে ভয়াবহ বন‍্যায় ১৯ জনের মৃত‍্যু , আহত প্রায় ৩০


 ক্রমশ অবনতির পথে অসমের বন‍্যা পরিস্থিতি। একটানা বৃষ্টির ফলে পড়শি রাজ‍্যের একাধিক এলাকা জলমগ্ন। ভয়াবহ বন‍্যায় ইতিমধ‍্যেই ১৯ জনের মৃত‍্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে, আহত প্রায় ৩০। অসমে প্রায় ২১টি জেলায় প্রায় সাত লক্ষ মানুষ ইতিমধ‍্যে বন্যার কবলে। অসমের বন‍্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিতে সে রাজ‍্যের মুখ‍্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মাকে ফোন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।


কেবল অসম নয়, গোটা উত্তরপূর্ব ভারত জুড়েই ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে বন‍্যা পরিস্থিতি। রাজ্যজুড়ে ৫১১টি ত্রাণ শিবিরে ৩৯,০০০ এরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র-সহ ৯টি প্রধান নদী বিপদসীমার উপরে বইছে, যার ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেই সূত্রের খবর। বন‍্যার ফলে চাষাবাদেরও ব‍্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলেই খবর।


বিগত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি অসমে ৷ সঙ্গে দোসর ভূমিধস ৷ তবে, পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে চলেছে বলে আশঙ্কা ৷ মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে চলেছে ৷ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য মঙ্গলবার চাচঁর ও কাছাড় জেলায় পরিদর্শনে যান অসমের মুখ্যমন্ত্রী ৷ উল্লেখ্য, বন্যায় সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে কাছাড়ের ৷ পাশপাশি, এদিন ধুবড়ি, দক্ষিণ সালমারা মানকাচর, গোয়ালপাড়া এবং কোকরাঝড়ে বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করেছে গুয়াহাটির আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতর ৷ আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, এই ৪ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷


প্রশাসনিক আধিকারিকদের মতে, সমগ্র অসমজুড়ে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি ৷ সড়ক, রেল এবং ফেরি পরিবহণ পরিষেবায় ব্যপাক প্রভাব পড়েছে ৷ রাজ্যের ২২টি জেলার বহু মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৷ শ্রীভূমি জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ১৭২ জন ৷ ৩১ হাজার ২১২ জনকে ১৬৫ টি ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ বন্যা কবলিত এলাকাগুলিতে ত্রাণ বিতরণের জন্য ক্রমাগত কাজ চলেছে ৷


অন্যদিকে, বন্যার জলে তলিয়ে গিয়েছে ১২ হাজার ৬১০ একর কৃষি জমি ৷ গত ২৪ ঘণ্টায় তলিয়ে গিয়েছে ৯৪টি পশুও ৷ সোমবার সন্ধ্যায় সরকারের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের একাধিক এলাকায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র, বরাক এবং কোপিলি নদীর জল ৷ রাজ্যের বাকি নদীগুলির জলস্তরও ক্রমশ বাড়ছে ৷ সরকারি আধিকারিকদের মতে, শহরাঞ্চলের বন্যায় দুটি জেলায় মোট ২১ হাজার ৩৭ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৷

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال