পুলওয়ামা হামলার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার পুলওয়ামা হামলার ষষ্ঠ বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, পুলওয়ামা হামলার শহীদদের ত্যাগ ও উৎসর্গকে দেশ কখনই ভুলবে না।
শুক্রবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী মোদী লিখেছেন, ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় আমরা যে সাহসী বীরদের হারিয়েছিলাম তাঁদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাঁদের ত্যাগ এবং দেশের প্রতি অটল উৎসর্গকে কখনই ভুলবে না।”
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলার স্মৃতি আজও ক্ষতর মত দগদগে ভূস্বর্গে। এদিকে, ২০২৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারির ঠিক আগের দিন,১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, যে জম্মু ও কাশ্মীরের ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে দুই তরফে ব্যাপক গুলি বর্ষণ হয়েছে। তবে সেই রিপোর্ট নস্যাৎ করে ভারতীয় সেনা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, সীমান্তে ভারী অস্ত্র দিয়ে কোনও ফায়ারিং-র ঘটনা ঘটেনি।
ভারতীয় সেনার তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নিয়ন্ত্রণ রেখায় সংঘর্ষ বিরতি অক্ষুণ্ণ রয়েছে। আর সেটা দুই দেশের সেনাই পালন করে চলেছে।’ এর আগে রিপোর্টে দাবি করা হয় যে, জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চের মেন্ধার সেক্টরে দুই দেশের সেনার মধ্যে ব্যাপক গুলি বর্ষণ হয়। ভারতীয় সেনা বলছে,' উত্তেজনা ছড়ায় নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবং নির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ রেখায় একটি সন্দেহজনক আইইডি বিস্ফোরণের মোকাবিলা করা হয়েছে।
ভালোবাসার দিবস হিসেবে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি সারা দেশে পালন করা হচ্ছে। তবে, এই দিনটিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনাটি ঘটেছিল। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের হামলায় শহিদ হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন জওয়ান। ভালবাসার দিনে দেশে উঠেছিল কান্নার রোল। তারপর থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি ‘ব্ল্যাক ডে’ বা কালো দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে আসছে।