দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বেছে নিল বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি। বুধবার শালিমার বাগের বিধায়ক রেখা গুপ্তার নাম ঘোষিত হল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে। এর আগে, দিল্লিতে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে, সুষা স্বরাজ, শীলা দীক্ষিত, অতিশীর দায়িত্বভার সামলেছেন। আর এবার ফের একবার দিল্লি পেল মহিলা মুখ্যমন্ত্রী।
২০২৪ সালেই প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে জেতেন রেখা। ১৯৭৪ সালে হরিয়ানার জিন্দ জেলায় নন্দগড় গ্রামে তাঁর জন্ম। তাঁর বাবা স্টেট ব্যাঙ্কের আধিকারিক ছিলেন। মাত্র দুবছর বয়সে হরিয়ানা ছেড়ে দিল্লিতে চলে আসেন রেখা। রাজধানীতেই পড়াশোনা করেছেন তিনি। প্রথমবার বিধানসভায় পা রেখেই সোজা মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চলেছেন বেনিয়া সম্প্রদায়ের এই নেত্রী। এই নিয়ে চতুর্থবার মহিল মুখ্যমন্ত্রী পেতে চলেছে রাজধানী।
২০০৭ সালে রাজনীতির ময়দানে রেখার প্রথম সাফল্য মেলে দিল্লির পুরভোটে। উত্তর পিতমপুরার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ২০২২ সালের পুরভোটে তাঁকে মেয়র পদপ্রার্থী শেলি ওবেরয়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী করে গেরুয়া শিবির। সেখানে যদিও সাফল্য পাননি। তবে দলের অন্দরে রেখার গুরুত্ব বাড়তে থাকে। সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনেও আপের ১০ বছরের শক্ত ঘাঁটি শালিমার বাগে রেখার উপরে আস্থা রেখেছিল বিজেপি। ২৯৫৯৫ ভোটে আপের বন্দনা কুমারীকে হারান রেখা। প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে জেতা 'আনকোরা' মুখকেই মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বেছে নিল বিজেপি। প্রবেশ বর্মার মতো হেভিওয়েটকেও পিছনে ফেলে দিলেন রেখা। উল্লেখ্য, দেশে একাধিক রাজ্যে বিজেপি সরকার থাকলেও রেখাই গেরুয়া শিবিরের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী।
বছর ৫০-এর রেখা গুপ্তা ছাত্রবস্থা থেকেই যুক্ত বিজেপির সঙ্গে। বিজেপির ছাত্র সংগঠন বলে পরিচিত এবিভিপির নেত্রী ছিলেন তিনি। দিল্লি পুরসভার কাউন্সিলার হিসেবেও কাজ করেছে রেখা গুপ্তা। নব্বইয়ের দশকে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতির দায়িত্বও সামলেছেন তিনি।
রেখা গুপ্তার জন্ম হরিয়ানার জিন্দ জেলার নন্দগড়ে । ১৯৭৪ সালের ১৯ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর বাবা রাখা গুপ্তা ছিলেন ব্যাঙ্ক কর্মী। ১৯৭৬ সালে তাঁর পরিবার চলে আসে দিল্লিতে। তিনি পড়াশোনা করেছেন দিল্লির দৌলতরাম কলেজ এবং উত্তরপ্রদেশের মেরঠের চরণ সিংহ বিশ্ববিদ্যালয়ে।