শিলাবৃষ্টির ফলে ধনিয়াখালি দশগড়া, নাকাশিপাড়া, চাপড়া, তেহট্ট ২ ও কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে ফসলের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে


 বুধবার গভীর রাতে দুই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক শিলা বৃষ্টি শুরু হয়। জানা গিয়েছে নদিয়ায় প্রায় ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে শিল পড়েছে দেদার। জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই শিলা বৃষ্টির ফলে নাকাশিপাড়া ব্লকের ৮টি প্রাম পঞ্চায়েতের মোট ৫২টি মৌজায় ক্ষতি হয়েছে। ফলে মাঠে থাকা গম, সর্ষে, ডাল, মশলা, সব্জি ও পেঁয়াজের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। জেলায় যে পরিমান ডাল ও সর্ষের ফলন হয়েছিল তার প্রায় ৩০-৩৫ শতাংশ এ দিনের শিলা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে নাকাশিপাড়া, চাপড়া, তেহট্ট ২ ও কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে ফসলের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।


ধনিয়াখালি দশগড়ার কৃষক সন্তু রাই এবং বেচ্চারাম ঘোষ বলেন, “অসময়ে বৃষ্টিপাত, তীব্র বাতাসের সাথে শিলাবৃষ্টি, আমাদের সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে। স্থির বৃষ্টির জল আলু নষ্ট করে দেবে, এবং জমে থাকা জল ফসল কাটার জন্য প্রস্তুত হওয়ার ঠিক সময় ক্ষেতে পচে যাবে।”


"শিলাবৃষ্টিতে সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি জমিতে শসা, টমেটো, কাঁচা মরিচ এবং অন্যান্য ফসল ভেসে গেছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, বৃষ্টিপাত আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস থাকায়, ফসলের একাংশও বাঁচানোর কোনও আশা নেই। ইতিমধ্যে ঋণের বোঝায় জর্জরিত, পুরো ফসলের ক্ষতি আমাদের ধ্বংস করে দেবে। আমরা সংশ্লিষ্ট জেলা কৃষি বিভাগকে ক্ষতির ঘটনাস্থলে মূল্যায়ন করার এবং উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।”


প্রচণ্ড বেগে ঝোড়ো হাওয়ায় ধনিয়াখালী ব্লকের হাজমপাড়া গ্রামের ১২২ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ছাদের একটি শেড উড়ে যায় এবং অনেক গাছ উপড়ে পড়ে।



Previous Post Next Post

نموذج الاتصال