৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি, ২০০ কোটি নদীবন্ধন প্রকল্প, ৫০০ কোটি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, বিনামূল্যে স্মার্টফোন রাজ্য বাজেট ঘোষণার পর ঘোষণা


 বুধবার পেশ হল রাজ্য বাজেট। কেন্দ্রীয় বাজেটে আয়করে ছাড় বাড়িয়ে চমক দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। মমতা বলেন, "আপনারা যদি বাজেটটা ভালো করে দেখেন, তাহলে দেখবেন একদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট... ভোট এলে ওরা একরকম কথা বলে। কিছু প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু, ভোটের পরে প্রতিশ্রুতি থাকে না। প্রতিশ্রুতিটা প্রতিচ্যুত হয়ে যায়। কিন্তু, আমাদের বাজেটে আমরা সেটা করি না। আমরা যেটা বলি, আমাদের যা ফান্ড পারমিট করে, আমাদের নিজস্ব রাজস্ব থেকে...এখন একটাই ট্যাক্স...GST-র ট্যাক্স। সবটাই তুলে নিয়ে যায় কেন্দ্র। কিন্তু আমাদের ভাগে যেটা পাওয়া উচিত সেটা কিন্তু আমাদের দেওয়া হয় না। একশো দিনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আবাসনের কাজ...যে গ্রামীণ বাড়ি তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।


১.রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী। আগামী এপ্রিল মাস থেকে কার্যকর হবে সেই বর্ধিত ডিএ।


২. নদীবন্ধন প্রকল্পে বরাদ্দ করা হচ্ছে ২০০ কোটি টাকা। নদী ও জলাভূমির মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য এই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।


৩. ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এই খাতে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামী ২ বছরে সেই প্ল্যান শেষ হওয়ার কথা জানানো হয়েছে।


৪. আশাকর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বিনামূল্যে স্মার্টফোন দেওয়া হবে। এই খাতে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে।


৫. ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের শেষ পর্যায়ের টাকা দেওয়া শুরু হবে ২০২৫-এর জুন মাস থেকে।



রাজ্য বাজেটকে পুরোদস্তুর বেকার বিরোধী বলে তুলোধোনা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন বাজেট পেশের পরই অধিবেশ কক্ষ থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বাইরে এসে শুভেন্দু বলেন, ‘রাজ্যের ২ কোটি ১৫ লক্ষ বেকারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে রাজ্য সরকার।’ শুভেন্দুর কথায়, এই বাজেট উত্তরবঙ্গ , জঙ্গল মহল, সুন্দরবন বিরোধী বাজেট। বাজেটকে কৃষক বিরোধী বলেও তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা। তিনি জানান, কৃষকবন্ধু প্রকল্পে কোনও বরাদ্দ বাড়ানো হয়নি বাজেটে, শস্য বিমা প্রকল্পেও বৃদ্ধির কোনও উল্লেখ নেই বলে অভিযোগ তাঁর। 




Previous Post Next Post

نموذج الاتصال