ওয়াকফ সংশোধনী নিয়ে মুসলমানদের একটি বড় অংশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে


 একদিকে দেশে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে ১০০টিরও বেশি পিটিশন জমা পড়েছে। অন্যদিকে বাংলায় ওয়াকফ নিয়ে হিংসার আগুন জ্বলেছে বিগত কয়েকদিনে। তবে এই সবের মাঝেই ওয়াকফ সংশোধনী নিয়ে মুসলমানদের একটি বড় অংশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে। এই আবেহে ১৭ এপ্রিল নয়াদিল্লিতে দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ওয়াকফ (সংশোধনী) আইনের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।


বুধবারে প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তী আদেশে তিনটি বিষয় রাখার কথা বলে সুপ্রিম কোর্ট:

যতদিন পর্যন্ত এই মামলা চলছে ততদিন অবধি আদালত কর্তৃক ওয়াকফ ঘোষিত সম্পত্তিকে ‘ডিনোটিফাই’ করা যাবে না। 

নতুন আইন মোতাবেক সরকার কর্তৃক প্রেরিত আধিকারিক যতক্ষণ না পর্যন্ত তদন্ত সম্পূর্ণ করছেন কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ ঘোষণা করা যাবে না। আপাতত আইনের এই অংশ স্থগিত রাখা হোক। 

ওয়াকফ বোর্ডে দু’জন আধিকারিক ছাড়া বাকি সদস্যদের ইসলাম ধর্মাবলম্বী হতে হবে। 


 মামলাকারীদের মধ্যে রয়েছেন  সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য তথা রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, বিধায়ক হুমায়ুন কবীর এবং আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। মামলা করেছে আরজেডিও। 


উল্লেখ্য, এই ওয়াকফ সংশোধনী বিলটি প্রথমে জেপিসিতে পাঠানো হয়েছিল। যৌথ সংসদীয় কমিটিতে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা হয় এটি নিয়ে। এরপর এখন ফের এটি সংসদে উপস্থাপিত হয়। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় বিলটি পাশ হয়েছে। শাসক দল বলছে, মুসলিমদের স্বার্থেই এই ওয়াকফ সংশোধনী বিল আনা হচ্ছে। বিরোধীদের অবশ্য অভিযোগ, এই বিলে সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে। তবে এই সবের মাঝেই লোকসভার এবং রাজ্যসভাতে পাশ হয়েছিল ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল। রাজ্যসভায় এই বিলটি পাশ করাতে বিজেপির প্রয়োজন ছিল ১১৯টি ভোটের। তারা সেই সংখ্যা থেকে বেশ কিছুটা বেশি ভোটই পায়। ৩৩ ভোটের ব্যবধানে বিলটি পাশ হয় সংসদের উচ্চকক্ষে। এর পক্ষে পড়েছিল ১২৮টি ভোট, বিপক্ষে পড়ে ৯৫টি ভোট। এর আগে লোকসভায় এই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন ২৮৮ জন সাংসদ, বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন ২৩২ জন সাংসদ। আর ৪ এপ্রিল রাতে রাষ্ট্রপতি এই বিলে সই করেন। এই আবহে এটি এখন আইনে পরিণত হয়েছে



Previous Post Next Post

نموذج الاتصال