করোনা, চিন থেকেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল। এক বীভৎস অতিমারী কাল কাটিয়েছে বিশ্ব। চিনের নতুন ভিডিও দেখে ফের আতঙ্ক, তাহলে কি করোনার পর নতুন ভাইরাসের ঢেউ ফের ছড়িয়ে পড়বে চিন থেকেই?
সমাজমাধ্যম সূত্রে খবর, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, মাইকোপ্লাজমা নিউমনিউনিয়া-সহ একাধিক ভাইরাসে জর্জরিত হয়ে পড়েছে ড্রাগনের দেশ। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত সে কথা স্বীকার করেনি সে দেশের সরকার। ইতিমধ্যেই, চিনে আরও ভয় বাড়িয়েছে এক রহস্যময় ভাইরাস। নতুন এই ভাইরাসের নাম রাখা হয়েছে হিউমাননিউমনোভাইরাস (এইচএমপিভি)। কিন্তু, চিন সরকার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কেউই কোনও সতর্কতা জারি করেনি। কিন্তু, নতুন এই ভাইরাস মূলত প্রভাব ফেলছে শিশু এবং বয়স্কদের উপর। মূলত যাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যান্যদের তুলনায় কম তাঁদের উপরেই আঘাত হানছে এই ভাইরাস।
মূলত ১৪ বছর বয়সের নীচের শিশু এবং বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন। ভাইরাসের প্রকোপে কাতারে কাতারে মানুষ হাসপাতালমুখী হচ্ছেন। আবার কিছু সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে জানা গিয়েছে, মূলত এইচএমপিভি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে ব্যাপকহারে। আক্রান্ত হচ্ছে হাজার হাজার শিশু, শিশুরা 'হোয়াইট লাংস'-এ ভুগছে। শিশু হাসপাতালগুলির অবস্থা দেখা যাচ্ছে না চোখে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট, শুধু হাসপাতালে ভিড় নয়, লম্বা লাইন শ্মশানের সামনেও। অর্থাৎ ভাইরাসের প্রকোপে প্রাণ হারাচ্ছেন বহু মানুষ? অনেকেই বলছেন, দ্রুতহারে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে চিনে জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা। যদিও এই বিষয়ে কেউ কোনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি এখনও।
রয়টার্স সূত্রে খবর, চিনের National Disease Control and Prevention Administration নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাবের কারণ অনুসন্ধান করার চেষ্টা চালাচ্ছে। শীতে এমনিই ফুসফুসের সমস্যা, নিউমোনিয়া , শ্বাসকষ্ট বাড়ে। তাই এই ভাইরাসের দাপটও শীতে বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই নিউমোনিয়া কেমন এত বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছাল তা খতিয়ে দেখে, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে খুব শিগগিরি তারা রোগ প্রতিরোধ বিধি চালু করতে পারে।