পহেলগামে পর্যটকদের উপর ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনার জেরে ভারত যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তার পাল্টা পদক্ষেপ হিসাবে পাকিস্তানও বৃহস্পতিবার একাধিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হল, পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর কোনও বিমান পাকিস্তানের আকাশ পেরোতে পারবে না এখন।
ইসলামাবাদের এই সিদ্ধান্ত যে শুধু রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক টানাপড়েনের প্রতিফলন তা নয়, এর প্রভাব পড়তে চলেছে সাধারণ যাত্রী এবং বিমান সংস্থাগুলির উপরেও।
এয়ার ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিগো ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, তাদের একাধিক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এই সিদ্ধান্তে প্রভাবিত হচ্ছে। এয়ার ইন্ডিয়ার মতে, উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, ব্রিটেন এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াতকারী বিমানগুলোকে এখন বিকল্প দীর্ঘতর রুট নিতে হবে। ইন্ডিগো-ও তাদের এক্স হ্যান্ডলে বলেছে, কিছু ফ্লাইট এই পরিস্থিতিতে দেরিতে পৌঁছতে পারে এবং যাত্রীদের জন্য তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।
জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে পশ্চিমে যেতে গেলে প্রধান বিকল্প হচ্ছে আরব সাগরের উপর দিয়ে দীর্ঘ পথ। এতে যাত্রার সময় গড়ে ২ থেকে ২.৫ ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়তে পারে। প্রতিটি সংস্থা তাদের নিজস্বভাবে বিভিন্ন বিকল্প রুট ব্যবহার করতে পারে, তাই চূড়ান্ত সময় নির্ভর করবে ফ্লাইট প্ল্যানের উপর।
এর আগে ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধ ও ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পরেও পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে একই রকম আকাশসীমা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল এবং প্রতিবারই এতে ভারতেরই বেশি ক্ষতি হয়েছে।
২০১৯ সালে পাকিস্তান শুধু ভারতীয় বিমান নয়, এমনকি ভারতগামী বিদেশি বিমানগুলোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর ফলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলেও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। পাকিস্তানের ফেডারেল তথ্য মন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার জানিয়েছেন, পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধের ফলে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলো কোটি কোটি ডলারের ক্ষতির মু
খে পড়বে।