জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামের জঙ্গি হামলার ঘটনার (Jammu Kashmir Pahalgam Terror Attack) প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে উপত্যকা জুড়ে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত সন্দেহভাজন প্রায় দেড় হাজার জনকে আটক করা হয়েছে। দফায় দফায় চলছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ।
পাক সরকারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে একাধিক পদক্ষেপ করেছে ভারত সরকারও। কড়া হাতে জঙ্গি নিধনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পহেলগামের ঘটনায় সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬টায় এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর পাশাপাশি সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। বৈঠক থেকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে সব মহলে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বার এই সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার অন্যতম কারণ, এই পরিস্থিতিতে দেশ যদি কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে নিয়ে একতা দেখানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। শুধু তাই নয়, কোনও রকম সিদ্ধান্ত ছোট-বড় সব রাজনৈতিক দল যৌথভাবে নিলে, সমালোচনা করার জায়গা থাকবে না, কেউ কোনও প্রশ্ন তুলতে পারবে না। সেই কারণে, সম্ভবত সকলে একসঙ্গে নিয়েই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ দিকে, পাকিস্তানকে জব্দ করতে বুধবার প্রথম পদক্ষেপ করেছে ভারত। পাকিস্তানের সঙ্গে ‘সিন্ধু জল বন্টন’ চুক্তি বাতিল করল ভারত। শুধু তাই নয়, নয়া দিল্লিতে বন্ধ পাকিস্তান দূতাবাস। পাক নাগরিকদের সব রকম ভিসা বন্ধ করল এদেশ। ‘SAARC visa exemption’-এর অন্তর্গত পাক নগরিকদের আর ভিসা দেওয়া হবে না। যাঁদের দেওয়া হয়েছিল তাও বাতিল করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানিদের ভারত ছাড়ার নির্দেশ। ভারত ও ইসলামাবাদ হাই কমিশন থেকে নিজেদের প্রতিনিধিদের ফিরিয়ে নিচ্ছে। এছাড়াও বন্ধ করা হয়েছে আটারি-ওয়াঘা চেকপোস্ট।