পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার দায়ও স্বীকার করেছে 'দ্য রেসিডেন্ট ফ্রন্ট'


 বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে ভূস্বর্গ। জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও-তে সন্ত্রাসী হামলায় এখনও পর্যন্ত ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারেই বলে মনে করা হচ্ছে। এই হামলার পরেই শিরোনামে উঠে এসেছে এক জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম 'দ্য রেসিডেন্ট ফ্রন্ট।’


পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার দায়ও স্বীকার করেছে তাঁরা। 'টিআরএফ' নামে পরিচিত এই সংগঠন হামলার দায় নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে কাশ্মীরে অবৈধভাবে বসতি গড়তে চাইলে উপত্যকায় এই ধরনের হামলা চলতেই থাকবে। ২০১৯ সালে গঠিত টিআরএফ অতীতেও সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে যুক্ত। কী ভাবে তৈরি হল এই দল? এঁরা কারা?


গোড়ায় অবশ্য এই গোষ্ঠীর উপস্থিতি ছিল শুধুই অনলাইনে। পরে ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি করে তারা। প্রতিষ্ঠার মাস ছয়েকের মধ্যেই অনলাইন থেকে বাস্তবে রূপ পায় টিআরএফ। উপস্থিতি জানান দিতে লশকর, জৈশ-ই-মহম্মদ-সহ একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠীর থেকে এই সংগঠনে সদস্যদের নিযুক্ত করা হয়েছিল। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, টিআরএফ জঙ্গিগোষ্ঠীর দ্রুত আড়ে-বহরে বিস্তারের নেপথ্যে সরাসরি ভূমিকা ছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের। ২০২৩ সালে টিআরএফকে ‘সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী’ হিসাবে চিহ্নিত করেছিল কেন্দ্র। জারি হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা।


জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এই জঙ্গি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। আবদুল্লাহ বলেন যে পহেলগামে হামলায় তিনি হতবাক। পর্যটকদের উপর আক্রমণ অত্যন্ত ঘৃণ্য। এই হামলার অপরাধীরা নৃশংস, অমানবিক এবং অবজ্ঞার যোগ্য। আমি শ্রীনগর থেকে ফিরছি। আহতদের দেখতে আমার সহকর্মীরা হাসপাতালে পৌঁছে

ছেন।


Previous Post Next Post

نموذج الاتصال