মহাকুম্ভের যাওয়ার পথে যানজট ৷ তবে এই যানজট সাধারণ নয়, কুম্ভের পাশাপাশি এবার প্রয়াগরাজ সাক্ষী থাকল প্রায় 300 কিলোমিটার পর্যন্ত যানজটের ৷ যা বিশ্বের দীর্ঘতম যানজট বলে মনে করা হচ্ছে ৷ অন্যদিকে, প্রয়াগরাজ-সহ অন্যান্য স্টেশনেও ভিড় উপচে পড়েছে ৷
তীব্র যানজট কাটিয়ে এগোনোর উপায় নেই! এমনই ছবি দেখা গেল প্রয়াগরাজে। প্রশ্ন উঠছে উত্তরপ্রদেশ সরকারের ভূমিকা নিয়ে। মহাকুম্ভে কোটি কোটি মানুষের ভিড় হবে, তা আগে থেকেই আন্দাজ করেছিল সরকার। মেলা শুরুর আগে থেকেই পুণ্যার্থীদের সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন তত্ত্বও দিচ্ছিল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। এমনকি, কোটি কোটি পুণ্যার্থীর ‘নিশ্ছিদ্র সুরক্ষা’ ব্যবস্থার দাবি করেছিল তারা, যাকে অভিহিত করা হয় এক নতুন শব্দবন্ধে— ‘ওয়ার্ল্ড ক্লাস ক্রাউড ম্যানেজমেন্ট’। কিন্তু তার পরও কেন বার বার ‘অব্যবস্থা’র কারণে সমস্যায় পুণ্যার্থীরা, প্রশ্ন বিরোধীদের। পদপিষ্টের ঘটনা, ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ড থেকে যানজট— নানা কারণে মহাকুম্ভের ব্যবস্থাপনা প্রশ্নের মুখে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ট্রাফিক জ্যাম বলে মনে করছেন অনেকে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় মেলায় হাজির হতে যে হারে মানুষ মহাকুম্ভে হাজির হচ্ছেন, তাঁদের গাড়ি মেলা প্রাঙ্গন থেকে দূরে থাকলেও, তাতে যেন মহাসমুদ্র তৈরি হয়েছে। একের পর এক গাড়ি যেমন দাঁড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে, তেমনি এক, দেড় ঘণ্টা ধরে মানুষকে রাস্তার উপরেই দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। যে বিপুল মানুষ মহাকুম্ভে হাজির হতে চাইছেন, ট্রাফিক জ্যামের জেরে মেলা প্রাঙ্গন থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে তাঁদের ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। ফলে কোনওক্রমে সেখান থেকে কোনও গাড়ি সরে অন্যত্র যেতে পারছে না।
এক্স হ্যান্ডেলে অখিলেশ যাদব লিখেছেন, "মহাকুম্ভ উপলক্ষে, উত্তরপ্রদেশে যানবাহন টোলমুক্ত করা উচিত। এতে সাধারণ সমস্যা এবং যানজটের সমস্যাও কমবে। যখন চলচ্চিত্র বিনোদনকে করমুক্ত করা যেতে পারে, তাহলে কেন এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য যানবাহনগুলিকে টোল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে না ?" তিনি আরও জানান, লখনউ থেকে প্রয়াগরাজ রাস্তায় 30 কিলোমিটার আগে নবাবগঞ্জে বড় জ্যাম, রেওয়া রোডের 16 কিলোমিটার এবং বারাণসীর দিকে 15 কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট রয়েছে ৷