দিঘায় জগন্নাথধামে আজ দ্বার উদঘাটন ও প্রাণপ্রতিষ্ঠা


 

দিঘায় জগন্নাথধাম আন্তর্জাতিক মহলের নজর টানতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। আজ বুধবার দ্বারোদ্ঘাটন ও প্রাণপ্রতিষ্ঠা। তার আগে গত ৫ দিন ধরে চলেছে মহাযজ্ঞ। সোমবার থেকে অতিথিরা চলে এসেছেন দিঘায়। দিঘায় এখন উৎসবের মেজাজ। পরিবহণ থেকে জলের ব্যবস্থা। দমকল থেকে মেডিক্যাল সাপোর্ট— সবদিকেই নজর রাখছেন এই পাঁচ মন্ত্রী। সোমবার দিঘায় পৌঁছে দফায় দফায় মন্দির চত্বর ঘুরে দেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে বেশ কিছু নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। সেই নির্দেশ মেনে পাঁচ মন্ত্রী সোমবার থেকে অনেক রাত পর্যন্ত টানা কাজ করে গিয়েছেন।



বুধবার সকাল থেকে ফের তদারকিতে নেমে পড়েছেন তাঁরা। বিরাট কর্মকাণ্ডে বিদ্যুৎব্যবস্থা যথাযথ রাখতে সকাল থেকে ছুটছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস৷ প্রয়োজনে বৈঠক করছেন, নির্দেশ দিচ্ছেন৷ দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু আগাম সাবধানতা মাথায় রেখে ১৫টি অতিরিক্ত ইঞ্জিন জগন্নাথধামে রেখেছেন৷


এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে পুরীর মন্দিরের ধাঁচে দীঘার সমুদ্রতীরে। দীঘা রেলস্টেশনের একেবারে কাছে নিউ দীঘা ও ওল্ড দীঘার মাঝপথে। রাজস্থানের গোলাপি বেলেপাথর দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এই মন্দির। রাজস্থানের ৮০০ দক্ষ কারিগর মন্দির নির্মাণে অংশ নেন। অযোধ্যার রামমন্দির নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত কিছু কারিগরও এ মন্দির নির্মাণে ছিলেন।


দীঘার মন্দিরের তিন বিগ্রহ তৈরি করা হয়েছে পাথর দিয়ে। পুরীর মন্দিরের মতো ভোগ মণ্ডপ, নাটমন্দির, জগমোহন ও গর্ভগৃহ রয়েছে। আছে ব্যাঘ্রদ্বার, হস্তিদ্বার ও অশ্বদ্বার। দেবতার স্থাপত্যও স্থান পেয়েছে। আরও থাকছে লক্ষ্মীমন্দির, গুন্ডিচার মাসিবাড়ি। মাসিবাড়ি করা হয়েছে দীঘার আদি জগন্নাথ দেবের মন্দিরকে।


পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পর্যটনকেন্দ্র দীঘাকে পুরীর পর্যটনকেন্দ্রের মতো গড়ে তোলার অংশ হিসেবে এই জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। মূল মন্দিরটি ২১৩ ফুট উঁচু। মন্দিরের মেঝের মারবেল পাথর আনা হয়েছে ভিয়েতনাম থেকে। ২২ একর জমিতে গড়ে উঠেছে দীঘার জগন্নাথ ধাম।


Previous Post Next Post

نموذج الاتصال